সাম্প্রতিক এক অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বেক্সিমকো এলপি ইউনিট-১-এর চেয়ারম্যান হিসেবে শফিউল্লাহ আল মুনিরের নাম থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির পেছনে সালমান এফ রহমানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। অপরদিকে, অন্য প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন সালমান এফ রহমানের ছেলে, সায়ান এফ রহমান। যদিও তিনি নমিনাল ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্লোবাল এলপিজি এবং এগ্রো ইনডেক্স নামে আরও দুটি প্রতিষ্ঠানের নামও জড়িত রয়েছে। গ্লোবাল এলপিজি প্রতিষ্ঠানটি আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ৪৫০ কোটি টাকার ঋণ সহ মোট ৬৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এগ্রো ইনডেক্সের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা।
সায়ান এফ রহমানের ঋণ পরিশোধ এবং মামলা পরিচালনা
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে সালমান এফ রহমান গ্রেপ্তার হলে তার ছেলে সায়ান এফ রহমান দেশে ফিরে এসে এগ্রো ইনডেক্সের ৫০০ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করেন। এছাড়া ভবিষ্যতে যেসব ঋণ সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, সেগুলো পরিশোধেরও চেষ্টা করছেন তিনি।
এদিকে, সালমান এফ রহমানের মামলার জন্য সায়ান এফ রহমান সুপ্রিম কোর্টের তিনজন সিনিয়র আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের মোট ১১ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপের টেকনাফের গোডাউন আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সায়ান।
করোনা পরিস্থিতিতে ইনডেক্স গ্রুপের ক্ষতি
করোনা মহামারির সময়, ইনডেক্স লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকের ঋণ সুবিধা নিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কেমিক্যাল আমদানি করে। অভিযোগ অনুযায়ী, শফিউল্লাহ আল মুনিরকে সাজানো মামলায় কারাগারে রেখে তার স্ত্রী জাকিয়া তাজিন ও সালমান এফ রহমান কেমিক্যাল বিক্রি করে ৭০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
এছাড়াও, ইনডেক্স হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের ৮৫ কোটি টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও সালমান এফ রহমানের প্রভাব খাটিয়ে তা বন্ধ করা হয়। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের দুটি প্রকল্পের কাজও বন্ধ করে দেন তিনি, যার ফলে ইনডেক্স গ্রুপের প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।