প্রয়াত বাবা কামাল হোসেনের স্বপ্ন পূরণে দেশমাতৃকার সেবায় নিবেদিত লেফটেন্যান্ট মো. বায়েজিদ বোস্তামী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন মানবিক সৈনিক হিসেবে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ২০২০ সালে রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ৮৬তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন বায়েজিদ। তাঁর বাবার ইচ্ছা ছিল, সন্তান দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে।
বায়েজিদ তাঁর সাহসিকতা ও মানবিকতার পরিচয় দেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় বন্যার্তদের উদ্ধারকাজে। ২২ আগস্ট থেকে এক সপ্তাহে তিনি প্রায় ৩৫০ জন বন্যার্তকে উদ্ধার করেছেন, যাদের মধ্যে শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং অসুস্থ ব্যক্তিরাও ছিলেন। নিজের জীবন বাজি রেখে গলা সমান পানিতে নেমে কখনো পিঠে, কখনো কোলে তুলে, আবার কখনো সেনাবাহিনীর বোটে করে তিনি বন্যার্তদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসেন।
সাধারণ মানুষের কাছে বায়েজিদের এই মানবিক পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়েছে। তাঁকে ‘রিয়েল হিরো’ আখ্যা দিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁর কাজ মিডিয়া ফোকাসের বাইরে হলেও দুর্যোগপীড়িত মানুষের কাছে শান্তি ও স্বস্তির প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি।
নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার সন্তান বায়েজিদ, কঠোর প্রশিক্ষণ শেষে কুমিল্লা সেনানিবাসে একটি পদাতিক ব্যাটালিয়নে যোগদান করেন এবং নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সাঁতারের ‘ফ্রগম্যান কোর্স’ও সম্পন্ন করেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, লেফটেন্যান্ট বায়েজিদের মতো তরুণ সেনা কর্মকর্তার মানবতাবোধ ও সাহসিকতা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে।