সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক গোপন গ্রুপচ্যাটে বাংলাদেশের কিছু নামকরা অভিনয় শিল্পীদের বিতর্কিত মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। ১৬০টি স্ক্রিনশটের মাধ্যমে প্রাপ্ত এই চ্যাটে দেখা গেছে, ছাত্র আন্দোলন দমনে কিছু শিল্পী অমানবিক ও সহিংসতার পরামর্শ দিয়েছেন।
এই তালিকায় যারা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলি হল: সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, রফিক (রজনীগন্ধা), এমপি ফেরদৌস, রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, সুইটি, রওনক হাসান, মাসুদ পথিক, এমপি আরাফাত, আশনা হাবীব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, শামীমা তুষ্টি, জমশেদ শামীম, উর্মিলা, মামুনুর রশিদ, খান জেহাদ, এবার্ট খান, সাজু খাদেম, হৃদি হক, ফজলুর রহমান বাবু, আশরাফ কবীর, দীপান্বিতা মার্টিন, এমপি হাসান মাহমুদ, সাইমন সাদিক, জুয়েল মাহমুদ, জায়েদ খান, হারুনুর রশিদ, ঝুনা চৌধুরী, লিমন আহমেদ, লিয়াকত আলী লাকি, সৈয়দ আওলাদ, সাইদ খান, সাখাওয়াত মুন, স্মরণ সাহা, সায়েম সামাদ, শাকিল (দেশনাটক), শহীদ আলমগীর, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, সঙ্গীতা মেখাল, সৈয়দা শাহানুর, মোঃ শাহাদাত হোসেন, গুলজার, নাহিদ, মিলন, প্রণীল, এসএ হক অলীক, রুনি, রুবেল শঙ্কর, রাজিবুল ইসলাম রাজিব এবং আরও অনেকে।
এই চ্যাটে অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের গায়ে গরম পানি ঢেলে দিতে বলেছিলেন। এছাড়াও, অভিনেত্রী আশনা হাবীব ভাবনা ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবু সাঈদকে নিয়ে ছবি এঁকে অভিনয় করার কথাও বলেছেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিল্পীদের বিবেকবোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও এমন শিল্পীদের দেখা গিয়েছিল, যারা নৈতিকতার বাইরে গিয়ে অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। আজকের এই ঘটনার ফলে বোঝা যাচ্ছে, সব শিল্পীরই বিবেকবোধ নেই এবং তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাসও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ এবং বিশেষ করে ছাত্ররা এখন এই শিল্পীদের চিনে রাখার প্রয়োজন অনুভব করছে। এই জাতীয় শিল্পীরা যে জাতির জন্য একটি কলঙ্ক, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।