সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) টি এম জুবায়েরের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, লুট করা এসব অর্থ লন্ডন, দুবাই, সিঙ্গাপুর ও তুরস্কে পাচার করেছেন তিনি। লন্ডনসহ অন্তত তিনটি দেশে রয়েছে তার বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। দেশের ভেতরে গাজীপুর, ঢাকা, রংপুর এবং ভোলায় বিস্তৃত সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি। তার মালিকানায় রয়েছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় একটি রিসোর্ট, গাজীপুর সদরে বহুতল বাড়ি, ঢাকার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে নিজের ও বোনের নামে ফ্ল্যাট, উত্তরা রাজলক্ষ্মী মার্কেটে একাধিক দোকান এবং ঢাকার সেগুনবাগিচা, ধানমন্ডি, পূর্বাচল ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাট ও প্লট।
এছাড়া, গ্রামের বাড়িতে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ এবং চাচাতো ভাই জহিরের মাধ্যমে দখলদারিত্ব চালানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে ৬ একর জমি দখল করে তার বাবার নামে একটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং নদীর পাশে একটি লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ করেছেন। এসব দখলদারিত্বের প্রতিবাদ করায় একাধিক ব্যক্তিকে হত্যামামলায় জড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকারের অভ্যন্তরীণ একটি নথিতে জুবায়েরের বিদেশে বিপুল সম্পদের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, তিনি লন্ডনে ২৯ লাখ ৪৫ হাজার পাউন্ড বা প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেছেন। এছাড়া হ্যাম্পশায়ার শহরে কয়েকটি রেস্টুরেন্টও গড়ে তুলেছেন তিনি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে মেজর জেনারেল (অব.) টি এম জুবায়েরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।