গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দেশজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের দাবি উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পদত্যাগে বাধ্য করার ঘটনা ঘটছে।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ ও হেনস্তা বন্ধের জন্য নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের প্রধান বা অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে পদত্যাগ বা অপসারণের ঘটনা ঘটছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড যে কোনো মূল্যে বন্ধ করতে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি তদারকির জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও নির্দেশ দেন, যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের স্বার্থে শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এর আগে গত ২৫ আগস্টও পদত্যাগে বল প্রয়োগ করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
