ঢাকা, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪: সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) আবদুল্লাহিল আমান আযমী নতুন জাতীয় সংগীত ও সংবিধান রচনার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতীয় সংগীতকে দুই বাংলার একত্রিতকরণের উদ্দেশ্যে রচিত বলে অভিযোগ তুলে তিনি এর পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আমান আযমী ১৯৭২ সালে রচিত সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান রচনার আহ্বান জানান।
তিনি দাবি করেন, বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার ও সীমান্তে ফেলানী হত্যার ঘটনায় ভারতের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। এছাড়াও, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আযমের ছেলে হওয়ার কারণে তাকে গুম করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আমান আযমী বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। এছাড়া, ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানকে “বিস্ময়কর” হিসেবে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার নেতৃত্বাধীন সব উপদেষ্টাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনুরোধ করছি, আপনারা নির্বাচনের জন্য কোনো ধরনের চাপ দিবেন না। তারা যথাযথ সময়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।”
উল্লেখ্য, বন্দিদশা থেকে মুক্ত হওয়ার পর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ বোধ করার পরেই আমান আযমী এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর একের পর এক ফিরে আসতে থাকেন দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ ব্যক্তিরা, যাদের মধ্যে ছিলেন আমান আযমীও। তিনি ৬ আগস্ট ভোরে নিজ বাসায় ফেরেন। ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি, যখন তার পরিবার দাবি করে যে তাকে গুম করা হয়েছে।