ইরানের সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান মঙ্গলবার বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পার্লামেন্টের সামনে নবম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অতিরক্ষণশীল সাঈদ জালিলির বিরুদ্ধে জয় লাভের পর তিনি শপথ নেন। এর আগে তিনি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্থলাভিষিক্ত হন এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেন।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে পবিত্র কুরআন ও ইরানের জনগণের সামনে সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে শপথ করছি, আমি দেশের সরকারি ধর্ম, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের ব্যবস্থা ও সংবিধানের রক্ষক হব।’ তিনি দুই সপ্তাহের মধ্যে তার সরকার ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
অক্টোবরের শুরুতে গাজা যুদ্ধের পর আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রেক্ষাপটে এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমাবিশ্বের বিরোধ ও নিষেধাজ্ঞায় অর্থনীতির সংকটের মধ্যে পেজেশকিয়ান নির্বাচিত হন।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আর্মেনিয়া, তাজিকিস্তান, মিসর, সুদান, ইরাক, তুরস্ক, সৌদি আরব, আজারবাইজান, কিউবা, ব্রাজিলসহ বেশ কয়েকটি দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এনরিক মোরাও এবং আঞ্চলিক ইরান সমর্থিত মিত্রদের মধ্যে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ, ইসলামিক জিহাদের প্রধান জিয়াদ আল-নাখালাহ, লেবাননের হিজবুল্লাহ আন্দোলনের উপমহাসচিব নাইম কাসেম এবং ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুলসালামও উপস্থিত ছিলেন।