তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলের নোশন শহরে সম্প্রতি এক ঐতিহাসিক আবিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক শহরটির ধ্বংসাবশেষে খননকাজ চালানোর সময় স্বর্ণমুদ্রাভর্তি একটি পাত্র আবিষ্কার করেছেন, যা প্রায় ২ হাজার ৫০০ বছর ধরে মাটির নিচে লুকানো ছিল।
নোশন শহরটি খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ থেকে ১০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রাচীন গ্রিসের অধীনে ছিল। তখন এটি একটি সুরক্ষিত শহর হিসেবে পরিচিত ছিল, যা এখন শুধুমাত্র ধ্বংসাবশেষ হিসেবে বিদ্যমান। প্রাপ্ত স্বর্ণমুদ্রাগুলি সম্ভবত খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ খ্রিষ্টাব্দে কোনো ভাড়াটে সেনা যুদ্ধের কারণে বাড়ির মেঝের নিচে লুকিয়ে রেখেছিলেন।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নোশন প্রত্নতত্ত্ব প্রকল্পের পরিচালক ড. ক্রিস্টোফার রাট এই আবিষ্কারকে অত্যন্ত মূল্যবান ও বিরল বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “কেউ মুদ্রার ভান্ডার এভাবে পুঁতে রাখে না—বিশেষ করে যদি সেগুলো মূল্যবান ধাতুর হয়, আর পরে তুলে নেওয়ার ইচ্ছে না থাকে। তাই ধারণা করা যায়, স্বর্ণমুদ্রাগুলোর মালিকের সঙ্গে খুবই খারাপ কিছু ঘটেছিল।”
নোশন শহরে এই প্রাচীন গ্রিসের নিদর্শনগুলি যেমন থিয়েটার, মন্দির, ঘরবাড়ি ও বাজার এখনো বিদ্যমান। তবে এই শহরের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা বা অনুসন্ধান করা হয়নি হাজার হাজার বছর ধরে। ২০১২ সালে ড. রাট এবং তার দলের সদস্যরা শহরটির ওপর গবেষণা শুরু করেন এবং ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়, যা এই ঐতিহাসিক আবিষ্কারকে সামনে নিয়ে আসে।
এই আবিষ্কার প্রাচীন ইতিহাসের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে এবং নোশন শহরের গুরুত্বকে নতুনভাবে প্রকাশ করেছে।