বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী সংগ্রামের ইতিহাসে সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেনের গান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। গান দিয়ে দেশ, সমাজ, মানুষ ও নানা অসংগতি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অসুস্থতার কারণে হায়দার হোসেন আর আগের মতো গান গাইতে পারেন না। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় তাঁর অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ ও দুঃখ চুপ করে থাকতে দেয়নি। অসুস্থতার মাঝেই নতুন একটি গান তৈরি করেছিলেন তিনি, তবে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকার কারণে সে সময় গানটি প্রকাশ করতে পারেননি।
অবশেষে, গত বুধবার হায়দার হোসেন তাঁর নতুন গান “আমি লিখতে চাইনি” শিরোনামে প্রকাশ করেন। ফেসবুকে গানটি শেয়ার করে হায়দার হোসেন ক্যাপশনে লেখেন, “এই গানটি লিখেছিলাম কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য। ১৮ জুলাই আপলোড করার আগ মুহূর্তে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। অনেকের অনুরোধে গানটি আপলোড করলাম।”
কয়েক দিন আগে আরও একটি নতুন গান প্রকাশিত হয়েছে হায়দার হোসেনের। “বিজয় উল্লাস” শিরোনামের এই গানটি লেখা ও সুর করেছেন তিনি। সংগীত পরিচালনা করেছেন ফোয়াদ নাসের বাবু। এই গানটিতে হায়দার হোসেনের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন মাটি ব্যান্ডের ভোকাল মিরাজ খান।
হায়দার হোসেন এই গানটি নিয়ে বলেন, “অনেক জীবনের বিনিময়ে নতুন দেশ পেয়েছে ছাত্র-জনতা। শাসকের সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনে আজ আমরা উচ্ছ্বসিত। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশ নিয়ে যে উল্লাস, আনন্দ চলছে—এই আনন্দকে ধরে রাখতে হবে। এই আনন্দকে ধরে রাখতে আমাদের অনেক কাজ এখনো বাকি। ‘বিজয় উল্লাস’ গানটি সে কথাই বলছে।”