জনরোষে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পলাতক রয়েছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। তার অনুপস্থিতিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগের মুহাদ্দিস ও উপ-পরিচালক ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খানকে জুমার নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
এদিকে, ওয়ালীয়ুর রহমান খানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ‘শহিদ’ শব্দের ব্যবহারের বিষয়ে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ওই ভিডিওতে ওয়ালীয়ুর রহমান খান বলেন, “বঙ্গবন্ধু একেবারেই জানতেন না—ঘুম থেকে ওঠার পর তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তার সঙ্গে অন্যরাও, যারা প্রচলিত আইনে বা শরিয়া আইনে কোনো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নন, তাদের হত্যা করা হয়েছে। তাই তারা শহিদ। অন্য দৃষ্টিতে, সেখানে অবলা নারী ও মাসুম শিশু ছিলেন—তাদের হত্যা করার কোনো আইন নেই বা বৈধতা নেই। মানবতার কোনো স্তরেই এটি পড়ে না।”
তিনি আরও বলেন, “আজ পর্যন্ত আমার আগে আরও অনেক আলেম এ ঘটনার সাক্ষী ছিলেন এবং এ ইতিহাস জানা লাখ লাখ আলেম দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। কোনো আলেম কিন্তু এ বিষয়ে কোনো দলিল দিয়ে সমর্থন করেননি। কোনো ইসলামি দল বা সাধারণ ইসলামীপন্থিরাও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বা সমর্থন করেনি। আমি নতুন কিছু বলছি না।”
এই গবেষক আরও উল্লেখ করেন, “আওয়ামী লীগের লোকেরাই প্রথমে শহিদ বলতেন না, তাদের মধ্যে ইসলামের থেকে দূরত্ব ছিল। তারা মনে করতেন শহিদ শব্দটা পাকিস্তানের পরিভাষা, যা স্বাধীনতা বিরোধীরা ব্যবহার করে। কিন্তু এখন ১৫ আগস্টকে জাতির পিতার শাহাদাৎবার্ষিকী বলা হচ্ছে এবং শেখ মুজিবসহ নিহত সবাইকে শহিদ বলা হচ্ছে।”
শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, “শেখ মুজিবের নেতৃত্বে জাতি সংগঠিত হয়েছিল এবং দেশ স্বাধীন হয়েছিল। বিশেষ করে ২৫ মার্চের পাক বাহিনীর অত্যাচারের পর জাতি যে সংগঠিত হলো এবং দেশ যে স্বাধীন হলো, তা স্বীকার করতেই হবে।”