ঢাকা, ৩০ আগস্ট: দেশের বিভিন্ন স্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বেশিরভাগ মামলাই জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু হওয়া ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর হাসিনার পতন ঘটে, এবং এর পরই প্রকাশ্যে আসে অসংখ্য মৃত্যুর ঘটনা। জানা গেছে, হাসিনা সরকারের হাতে এ পর্যন্ত ১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। প্রথম হত্যা মামলা করা হয় ১৩ আগস্ট রাজধানীতে, এবং শততম মামলা দায়ের করা হয় গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এসব মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক মন্ত্রী, সচিব, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং বেশ কয়েকজন সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলাগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায়, গণহত্যার অভিযোগে আটটি মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় জমা পড়েছে। বাকী ৯৪টি মামলা দেশের বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১০১টি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া, অপহরণ ও গুমের অভিযোগেও তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।
মামলাগুলোর মধ্যে ১৩ আগস্ট একটি, ১৪ আগস্ট একটি, ১৫ আগস্ট তিনটি, ১৬ আগস্ট দুটি, ১৭ আগস্ট তিনটি, ১৮ আগস্ট আটটি, ১৯ আগস্ট চারটি, ২০ আগস্ট ১০টি, ২১ আগস্ট ১০টি, ২২ আগস্ট ১০টি, ২৩ আগস্ট ১৪টি, ২৫ আগস্ট বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুটি ছাড়াও ১০টি, ২৬ আগস্ট একটি, ২৭ আগস্ট চারটি, ২৮ আগস্ট চারটি, এবং ২৯ আগস্ট ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। ৫ আগস্ট রাজধানীর শ্যামলীর রিং রোডে ছাত্র আন্দোলনকেন্দ্রিক সংঘর্ষে নিহত মিরপুরের বিসিআইসি কলেজের শিক্ষার্থী নাসিব হাসানের (১৭) পক্ষে তার বাবা গোলাম রাজ্জাকের হয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম এই অভিযোগটি দায়ের করেন।