ঢাকা, ৮ আগস্ট – ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, সক্রিয় রাজনৈতিক দল এবং গণমানুষের সমর্থনে গঠিত এই সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দেশের জনগণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলেও এই সরকারের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছে।
বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো নতুন সরকারকে সবরকম সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার পর প্রথমেই অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যিনি শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বনেতৃত্ব নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে এবং সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান সরকারের প্রতি জনগণের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলেও সরকারকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. হুমায়ূন কবির বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা ও একসঙ্গে কাজ করার একটি শুভ ইচ্ছা বাইরের পৃথিবীর আছে। তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজন।’
অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাকে নতুন সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে হয়। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনীতির কাঠামো পুনর্গঠন করতে হবে দ্রুত। তবে সবকিছু করার জন্য নতুন সরকারকে সময় দিতে হবে এবং সহযোগিতাও প্রয়োজন।’
বিশ্বনেতাদের ইতিবাচক মনোভাবের ভিত্তিতে আশা করা যায়, নতুন সরকার জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সক্ষম হবে।