সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও তিনটি হত্যা মামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত, যার ফলে তার বিরুদ্ধে মোট মামলা সংখ্যা ৯৯-এ পৌঁছেছে। গত ৫ আগস্ট কোটা আন্দোলনের জেরে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে খুন, গুম এবং গণহত্যার একাধিক অভিযোগ উঠে আসে।
কোটা আন্দোলনের ঘটনার পর শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপর তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের ঘটনা শুরু হয়। প্রথম মামলা হয় গত ১৩ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায়। এর পর থেকে প্রতিদিনই নতুন নতুন মামলা যুক্ত হতে থাকে।
১৩ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ৯৯টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ আগস্ট তিনটি, ১৬ আগস্ট দুটি, ১৭ আগস্ট তিনটি এবং ২০ আগস্ট মোট ১০টি মামলা হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার দায়ে তার বিরুদ্ধে সাতটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ আরও অনেকে। এসব মামলায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও আসামি হিসেবে যুক্ত রয়েছেন।
এই মামলা ও অভিযোগের ধারাবাহিকতা প্রমাণ করে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জটিলতা এবং অতীত সরকারের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের হতাশা।