চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলন করছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (২৫ আগস্ট) তারা সচিবালয়ে প্রবেশ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয় এবং সংঘর্ষে ৩৫ জনের বেশি আহত হন, যাদের মধ্যে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকও ছিলেন।
আনসার সদস্যদের এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কাদের নামের এক ব্যক্তি, যিনি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। কাদের ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনসারের পিসি হিসেবে কর্মরত। সচিবালয়ের ভেতরে কাদেরের নেতৃত্বে দাবি আদায়ের চেষ্টা করা হয়, যা ভিডিওতে ধরা পড়ে এবং স্থানীয়রা তাকে সনাক্ত করেছেন।
ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলেও আনসার সদস্যদের হামলায় ৬ জন সেনাসদস্য আহত হন। এই সংঘর্ষের পর শিক্ষার্থীরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং আনসার সদস্যরা পিছু হটে।