বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশকে স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যখন শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি বলেন, অতীতের সকল সমস্যার সমাধান করে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে, রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান সংস্কার এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যৌক্তিক সময় দেয়া উচিত। তবে এ সময় অনির্দিষ্টকালের জন্য নয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার মাত্র তিন মাসে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করেছিলেন।
শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে সিলেটের একটি হোটেলে বিএনপির একটি সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। সভা শেষে সিলেটের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, দেশের একটি অংশ বর্তমানে ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন। ভারত তাদের বাঁধ খুলে দেওয়ায় এই বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। পানি আগ্রাসনকে তারা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, যা এম. ইলিয়াস আলী এর আগে প্রতিবাদ করেছিলেন, এবং সেই জন্যই তাকে গুম করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেছিল। এবারও তারা এমন পরিকল্পনা করছিল, তবে সাধারণ ছাত্রজনতার প্রতিরোধের কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০১২ সাল থেকে চলমান আন্দোলনে বিএনপির প্রায় ৭০০ জনকে গুম করা হয়েছে, ২ হাজার নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন, এবং প্রায় ৬০ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার গায়েবী মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া, খালেদা জিয়া মুক্ত হলেও, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এম. ইলিয়াস আলীসহ গুম হওয়া সকলকে নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত দল আশাবাদী যে, সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে, তবে সরকার এখনো সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেনি।