টানা বৃষ্টি এবং ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও মৌলভীবাজারসহ কয়েকটি অঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে কয়েক লাখ মানুষ জীবন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে ভেসে আসছে আটকে পড়া মানুষের আর্তনাদ ও বাঁচার আকুতি।
বন্যাকবলিত এসব অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সর্বস্তরের মানুষ বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের প্রিয় ইনফ্লুয়েনসার ও সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান এবং ইউটিউবার কেটো ভাই বন্যার্তদের সাহায্য করতে স্পিডবোটসহ ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে তাসরিফ খান সামাজিক মাধ্যমে জানান, লক্ষ্মীপুর থেকে দুটি স্পিডবোট নিয়ে ফেনীতে বন্যাকবলিত মানুষদের রেসকিউ করতে যাচ্ছেন। আল্লাহর ইচ্ছায় দ্রুত পৌঁছে দুপুর থেকে রাত অবধি কয়েক শিফটে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তাসরিফ আরও জানান, কেটো ভাই এবং তার টিমও এই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
তাসরিফ জানান, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সমন্বিতভাবে কাজ করবেন তারা। কার্যক্রম শুরু করার পর নেটওয়ার্ক পেলে যোগাযোগের নম্বর এবং আপডেট জানানো হবে।
আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তাসরিফ বলেন, সিলেটে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে যে, অনেক মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চান না, যা পরবর্তীতে তাদের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনে। তাই সবাইকে তাদের খুঁজে বের করে সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
সবশেষে তাসরিফ যুবকদের আহ্বান জানান, মাওয়া বা লক্ষ্মীপুর থেকে স্পিডবোট নিয়ে ট্রাকে করে বন্যার্তদের উদ্ধার কার্যক্রমে এগিয়ে আসার জন্য। তিনি বলেন, এখন ত্রাণ দেওয়ার চেয়ে মানুষকে উদ্ধার করাটা বেশি জরুরি। এছাড়া, বন্যাকবলিত এলাকায় সাপের উপস্থিতি বেশি থাকায় সবাইকে সতর্কতা অবলম্বনেরও অনুরোধ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, তাসরিফ খান এর আগেও বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। ২০২২ সালে সিলেটের বন্যাদুর্গত মানুষদের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে ফেসবুকে লাইভ করে তিনি কোটি টাকার বেশি ফান্ড সংগ্রহ করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই উদ্যোগ তাকে সারা দেশে প্রশংসিত করে তোলে।