ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
গাজায় সশস্ত্র অভিযানে হামাসের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন— মার্কিন বাহিনী গাজায় প্রবেশ করবে না, বরং ‘অন্যদের তত্ত্বাবধানে’ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গাজায় নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সতর্কবার্তা ঘিরে। তিনি বলেছেন, যদি হামাস গাজায় কথিত ইসরাইলি সহযোগীদের ওপর অভিযান অব্যাহত রাখে, তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিক্রিয়ামূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
বৃহস্পতিবার নিজের সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন,
“যদি হামাস গাজায় মানুষ হত্যা চালিয়ে যায়, যা চুক্তির অংশ ছিল না, তাহলে সেখানে গিয়ে তাদের হত্যা করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না। এই বিষয়ে আপনার মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ!”
তার এই মন্তব্যে তীব্র আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, ট্রাম্পের বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প বলেন,
“আমরা গাজায় সেনা পাঠাব না। আমাদের সেটি করার প্রয়োজনও নেই। এমন লোক রয়েছে, খুব কাছেই, যারা সহজেই কাজটা করতে পারবে— আমাদের তত্ত্বাবধানে।”
যদিও তিনি কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি, তবে তার ইঙ্গিত স্পষ্টভাবেই ইসরাইলের দিকে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য তার পূর্বের অবস্থান থেকে ভিন্ন।
এর আগে, সপ্তাহের শুরুতে তিনি হামাসের কিছু পদক্ষেপকে সমর্থন করে বলেছিলেন,
“ওরা কয়েকটা ভয়ংকর গ্যাং নির্মূল করেছে, যারা খুব খারাপ লোক ছিল। তাদের মেরে ফেলেছে— এতে আমি তেমন বিরক্ত হইনি। এটা ঠিক আছে।”
এমন মন্তব্যের পর এবার ট্রাম্পের কঠোর হুমকি তার নীতিগত অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি হামাস ও সশস্ত্র গোত্রীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে— তারা মানবিক সহায়তা লুটপাট করছে এবং ইসরাইলের হয়ে কাজ করছে।
গাজায় পরিস্থিতি ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। স্থানীয় সূত্রের দাবি, এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইতোমধ্যেই পরিস্থিতি শান্ত করতে আহ্বান জানিয়েছে।