ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদকে আজ চট্টগ্রামে দাফন করা হবে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুরের মদনহাট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। জানাজা শেষে মরহুমকে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, জামাতা এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ দেশের স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার অবদান বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক সংস্কারে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
১৯৫৫ সালের ৪ মে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ড. তোফায়েল আহমেদ। তিনি ফতেহাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম কলেজ থেকে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি ও প্রশাসনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ১৯৭৬ ও ১৯৭৭ সালে।
পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাজ্যের সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামাজিক খাত পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর (১৯৮১) এবং ১৯৯১ সালে উন্নয়ন অধ্যয়নে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রশাসন বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও গবেষকের প্রেরণার উৎস ছিলেন। তার গবেষণা ও নীতি প্রণয়নে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোতে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
তিনি কর্মজীবন শুরু করেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে (বার্ড), যেখানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি নলেজ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক ওয়ার্ল্ডওয়াইড (নলেজ ট্রাস্ট)-এর চেয়ারপারসন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে শিক্ষাঙ্গনে ও গবেষণা মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার অবদান প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্মরণীয় হয়ে থাকবে।