ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (FFC) সবগুলো জাহাজ আটক করেছে ইসরাইলি নৌবাহিনী। বুধবার (৮ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে নৌবহরটি আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার ওপর আরোপিত সমুদ্র অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছিল ফ্রিডম ফ্লোটিলা। আটক যাত্রীদের সবাই বর্তমানে নিরাপদ ও সুস্থ আছেন এবং তাদের দ্রুত নির্বাসিত করার প্রক্রিয়া চলছে।
এফএফসি জানিয়েছে, বুধবার সকালে ইসরাইলি নৌবাহিনী প্রথমে ‘দ্য কনশেনস’ নামের একটি প্রধান জাহাজে আক্রমণ চালায়। এতে সাংবাদিক, চিকিৎসক ও মানবাধিকারকর্মীসহ ৯৩ জন যাত্রী ছিলেন। পরে ইসরাইলি বাহিনী আরও তিনটি ছোট জাহাজে হামলা চালিয়ে সেগুলোকেও আটক করে।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, আটক যাত্রীদের সবাইকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলমও রয়েছেন।
ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিকমাধ্যম এক্স (X)-এ এক পোস্টে জানায়,
“নৌ অবরোধ ভেঙে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আটক জাহাজ ও যাত্রীদের ইসরাইলি বন্দরে স্থানান্তর করা হয়েছে। সকল যাত্রী নিরাপদ ও সুস্থ আছেন, এবং তাদের দ্রুত নির্বাসিত করা হবে।”
ইসরাইলি দৈনিক টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের নৌবহরে মোট নয়টি জাহাজ রয়েছে, যা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে গাজার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল।
এই নৌবহরটির লক্ষ্য ছিল গাজার অবরুদ্ধ জনগণের কাছে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। তবে ইসরাইলের অবরোধ নীতি অনুযায়ী, গাজা উপকূলে কোনো বিদেশি নৌযান প্রবেশ করতে পারবে না—সে কারণেই ফ্লোটিলাটি আটক করা হয়েছে বলে জানায় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনায় ইসরাইলের গাজা অবরোধ ও মানবিক সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে বিতর্ক ও নিন্দা ছড়াতে পারে।