ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
গাজামুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে এই মানবিক নৌবহরে হানা দিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এরই মধ্যে গ্রেটা থানবার্গসহ দুই শতাধিক কর্মী ও সমাজসেবীকে আটক করা হয়েছে।
হানার কয়েক ঘণ্টা আগে নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি ছবি শেয়ার করেন শহিদুল আলম। ইসরাইলকে উদ্দেশ করে তিনি লিখেন—
“আমরা বারবার যাত্রা করবো। কারণ এই জলসীমা তোমাদের নয়, ওই ভূখণ্ডও তোমাদের নয়; যতক্ষণ না ফিলিস্তিন স্বাধীন হচ্ছে।”
জানা গেছে, শহিদুল আলম বর্তমানে ‘কনসায়েন্স’ নামের একটি বড় জাহাজে অবস্থান করছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার জাহাজটি আটক হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি আরেকটি পোস্টে জানান, “আমার ড্রোন ওয়াচ দেখাচ্ছে আরও এক ঘণ্টা যেতে হবে। আমরা সম্ভাব্য আক্রমণের প্রতি নজর রাখছি। এর আগে একটি তুর্কি জাহাজ দেখা গিয়েছিল, তবে এখনো পর্যন্ত বিপজ্জনক কিছু ঘটেনি।”
প্রায় ৫০টি জাহাজ ও নৌকা নিয়ে গঠিত এই সুমুদ ফ্লোটিলায় ৪০টি দেশের ৫০০-এরও বেশি কর্মী ও সমাজকর্মী অংশ নিয়েছেন। স্পেনের উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করা বহরটি বর্তমানে গাজা থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
নৌবহরে রয়েছে প্রচুর খাদ্য, ওষুধ ও জরুরি সামগ্রী, যা দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ গাজার মানুষের জন্য পাঠানো হচ্ছে।
গত মার্চ থেকে গাজার সব প্রবেশপথ বন্ধ রয়েছে। ইসরাইলি বাধার কারণে মানবিক সহায়তা আটকে থাকায় এই ফ্লোটিলা বিশ্বব্যাপী সংহতির প্রতীক হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে ইসরাইলের অমানবিক নীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদের ভাষা হিসেবেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।