ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না অভিযোগ করেছেন, ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ভয়াবহ কারচুপির মাধ্যমে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে। তার দাবি, নির্বাচনী অনিয়ম ও কারচুপির দিক থেকে কর্তৃপক্ষ শেখ হাসিনাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জে জেলা যুবদলের উদ্যোগে নরসুন্দা নদী (বড়বাজার-সংলগ্ন অংশ) পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মুন্না বলেন, “আমরা মনে করি ভিসি ও প্রক্টর জামায়াতিকরণের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনকে কলুষিত করেছেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে দেশের মানুষ এ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিল। কিন্তু ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে।”
তিনি জানান, ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদে প্রতিটি প্যানেল অবস্থান নিয়েছিল। এনসিপি, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সবাই ভোট কারচুপির অভিযোগ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। একইভাবে জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল ভোট বর্জন করে।
যুবদল সভাপতি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, জাতীয় নির্বাচনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে থেকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে পারলে কোনো ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং সফল হবে না। যদিও তারা অবশ্যই চেষ্টা করবে।”
নরসুন্দা নদীর করুণ অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, এক সময়ের খরস্রোতা নদীটি এখন প্রায় মৃতপ্রায়। পানিপ্রবাহের অনেক জায়গা বন্ধ হয়ে নালার মতো পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বড়বাজার শামসুদ্দিন ভূঁইয়া ব্রিজের নিচে যেখান থেকে প্রবাহ বন্ধ হয়ে আছে, সেটি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে যুবদল।
দেশব্যাপী কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিএনপির প্রধান কর্মসূচি হিসেবে খাল খনন ও পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পেলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে উন্নত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এ সময় যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল কবির পল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।