ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
একসময় প্রচলিত ধারার ব্যাংকের তুলনায় দ্রুত বাড়ছিল ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানত। এমনকি অনেক প্রচলিত ব্যাংক ধীরে ধীরে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে রূপান্তরিত হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই প্রবৃদ্ধির ধারা থমকে গেছে। মোট আমানতে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের অংশ ক্রমান্বয়ে কমছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন শেষে ব্যাংক খাতের মোট আমানত দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের আমানত ৪ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা, যা মোট আমানতের ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর আগের বছরের একই সময়ে ইসলামী ব্যাংকিং খাতে আমানতের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা, যা মোট আমানতের ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েকটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকের চরম দুরবস্থার কারণে এ খাতে আমানতের প্রবাহে ভাটা পড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে এসব ব্যাংকের আমানত ১ শতাংশের বেশি কমে গেছে। তবে ইসলামী ব্যাংকিং শাখা ও বিশেষায়িত উইংয়ের কারণে সামগ্রিকভাবে ইসলামী ব্যাংকিং আমানতে আড়াই শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে কয়েকটি ইসলামী ব্যাংকে বড় ধরনের জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর আমানতকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেকেই তখন ব্যাপক হারে টাকা তুলে নিতে শুরু করেন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে ‘দুর্দশাগ্রস্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং এগুলোকে একীভূত করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি নতুন শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, ইসলামী ব্যাংকিংয়ের প্রতি আস্থা পুনঃস্থাপনে সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি। অন্যথায় খাতটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।