ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা, ১৬ বছরের শাসনামলে গুম-খুন এবং অর্থপাচারের অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে।
সাংবাদিক দীপ্তিমান তিওয়ারির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৩ সালে ভারত এবং বাংলাদেশ একটি বন্দি বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। ২০১৫ সালে এই চুক্তির আওতায় আসামের স্বাধীনতাকামী সংগঠন উলফার শীর্ষ নেতা অনুপ চেটিয়াসহ কয়েকজনকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হয়েছিল।
চুক্তির শর্তানুসারে, ন্যূনতম এক বছরের সাজা হতে পারে এমন মামলায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেই ভারত বা বাংলাদেশকে পলাতক বন্দি হস্তান্তর করতে হবে। তবে, যদি অপরাধটি রাজনৈতিক হয়, তবে প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ রয়েছে। তবে হত্যা, গণহত্যা, বোমা হামলা, গুলি করে হত্যা, সম্পত্তির ক্ষতি, গুম-অপহরণ বা জিম্মি করা এবং হত্যার প্ররোচনার মতো অপরাধের মামলায় দুই দেশেরই পলাতক আসামিকে ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।