৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজধানীসহ সারা দেশে ভাস্কর্য, রিলিফ ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুরের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। ৫ থেকে ১৪ আগস্টের মধ্যে ৫৯টি জেলায় ১ হাজার ৪৯৪টি ভাস্কর্য ও স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও উপড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক ভাস্কর্য ছিল।
ঢাকা মহানগরীতে ১৫টি স্থানে ১২২টির বেশি ভাস্কর্য ধ্বংস হয়েছে। ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগেও ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ময়মনসিংহের শশীলজে ভেনাসের মূর্তি ও সুপ্রিম কোর্টের থেমিস ভাস্কর্যও ধ্বংস হয়েছে।
ভাস্কর্যশিল্পী হামিদুজ্জামান খান এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত সংস্কারকাজ শুরুর আহ্বান জানান। ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে দুটি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ময়মনসিংহের শশীলজে ভেনাসের ভাস্কর্য ও জয়নুল আবেদিনের মূর্তিও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। খুলনায় শেখ মুজিবুর রহমানের দুটি ভাস্কর্য পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। গাজীপুরে সাত বীরশ্রেষ্ঠের রিলিফ ভাস্কর্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের চেয়ারম্যান নাসিমুল খবির জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ভাস্কর্যগুলোর তালিকা প্রণয়ন ও সংস্কারের জন্য বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে সবগুলো ভাস্কর্য সংস্কার করা সম্ভব হবে না বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।