নিজস্ব প্রতিবেদক | সকলের কণ্ঠ
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অবশেষে মামলা করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিন্ডিকেটের হোতা হিসেবে পরিচিত রুহুল আমিন স্বপন, সাবেক তিন এমপি, তাদের স্ত্রী ও মেয়ে—মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার (২৭ আগস্ট) মানি লন্ডারিং আইনে মামলার অনুমোদন দেন সিআইডির মহাপরিচালক। আজ বা কালকের মধ্যে মামলাটি বনানী থানায় দায়ের করা হবে।
অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন:
- রুহুল আমিন স্বপন (বায়রার সাবেক মহাসচিব ও ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার)
- নিজাম উদ্দিন হাজারী (সাবেক এমপি, স্নিগ্ধা ওভারসিস)
- লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী জেসমিন মাসুদ ও মেয়ে তাসনিয়া মাসুদ (ফাইভএম ইন্টারন্যাশনাল ও ওয়ান প্লাস ওভারসিস)
- বেনজীর আহমেদ (সাবেক এমপি, আহম্মেদ ইন্টারন্যাশনাল)
- আ হ ম মুস্তাফা কামালের স্ত্রী কাশমেরী কামাল
এছাড়া আরও বেশ কিছু রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও পরিচালক এই তালিকায় আছেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও মানি লন্ডারিং।
তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, অভিযুক্তরা প্রায় ১০০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা হাতিয়েছেন। তবে এই অঙ্ক আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে সিআইডি।
প্রতি কর্মীর কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ৭৮,৯৯০ টাকার পরিবর্তে আদায় করা হয়েছে পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেশি অর্থ।
শুধু পাসপোর্ট ফি, মেডিকেল, কোভিড টেস্ট ও পোশাক বাবদই আদায় করা হয়েছে অতিরিক্ত টাকা।
২০ আগস্ট আদালত রুহুল আমিন স্বপনের ৫০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দ করেন। এর মধ্যে বসুন্ধরা, উত্তরা ও বনানীতে ২৩১ কাঠা জমি রয়েছে।
অভিবাসন নিয়ে কাজ করা ২৩টি সংগঠনের জোট বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্রেন্টস (বিসিএসএম) বলেছে, সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া যাবে না। তারা পুনঃতদন্ত ও বিচারিক তদন্তের দাবি তুলেছে।
মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম মালয়েশিয়াকিনিও এ বিষয়ে রিপোর্ট করেছে। তাদের দাবি, বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার অনুরোধে সিন্ডিকেট তদন্ত স্থগিত করেছে।
- হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিক প্রতারিত হয়েছেন।
- সরকার নির্ধারিত ফি-এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে।
- অভিযুক্তদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা আছেন।
- কয়েক হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ উঠেছে।