ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হিসেবে সরকারি গেজেটে অন্তর্ভুক্ত আটজনের নাম বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। রোববার (৩ আগস্ট) রাতে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সংশোধনের পর শহীদদের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩৬ জনে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাদ পড়াদের মধ্যে চারজনের নাম দুইবার করে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাকি চারজন সরাসরি গণআন্দোলনে অংশ নেননি—তাদের কেউ পুলিশ সদস্য, কেউ ছিলেন পলাতক আসামি, একজন হাসপাতালে মারা যান, আরেকজন পারিবারিক সহিংসতায় নিহত হন।
❖ দুইবার গেজেট হওয়া শহীদদের নাম:
১. শাহজাহান, ভোলা (গেজেট নম্বর ৬১১)
২. বাঁধন, শরীয়তপুর (গেজেট নম্বর ৮৩৬)
৩. মুসলেহ উদ্দিন, রামপুরা, ঢাকা (গেজেট নম্বর ২২৪)
৪. মো. রনি, সাভার (গেজেট নম্বর ৭৬৬)
❖ সরাসরি আন্দোলনে সম্পৃক্ত না থাকা ব্যক্তিরা:
- খলিলুর রহমান (গেজেট নম্বর ২২৯), টাঙ্গাইলের বাসিন্দা, ছিলেন পুলিশ সদস্য
- জিন্নাহ মিয়া (গেজেট নম্বর ৩৭৫), নরসিংদী, জেল পালাতক আসামি
- বশির সরদার (গেজেট নম্বর ৮২৩), পটুয়াখালী, অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান
- তাওহিদুল আলম জিসান (গেজেট নম্বর ৮১৮), নারায়ণগঞ্জ, পারিবারিক দ্বন্দ্বে নিহত, মামলা বিচারাধীন
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, “প্রথম দিকের তালিকায় কিছু তথ্যভিত্তিক ত্রুটি ছিল। আমরা একটি স্বচ্ছ, নির্ভুল এবং সম্মানজনক তালিকা নিশ্চিত করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই যাচাই-বাছাই করে এই সংশোধন করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, তালিকাটি চূড়ান্ত করার আগে আরও কিছু নাম নিয়ে যাচাই চলছে।
নাম বাতিল হওয়া শহীদদের পরিবার ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ হতাশা প্রকাশ করেছেন, আবার কেউ বলছেন—“প্রকৃত শহীদের মর্যাদা বজায় রাখার প্রয়াস যদি উদ্দেশ্য হয়, তবে যাচাই জরুরি।”
- আগের তালিকায় শহীদ সংখ্যা: ৮৪৪ জন
- নাম বাদ পড়েছে: ৮ জন
- বর্তমান গেজেটভুক্ত শহীদ: ৮৩৬ জন