ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছে বিচার কার্যক্রম। মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
রোববার (৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তায় তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। আজই মামলার প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য ও প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মামলার প্রথমদিনে সাক্ষ্য দিচ্ছেন ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সময় আহত কয়েকজন ভুক্তভোগী। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বর্বর হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ঘটনায় পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত জমা পড়েছে পাঁচ শতাধিক অভিযোগ। এরমধ্যে শেখ হাসিনাসহ চারটি মামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ ১৭ জন গ্রেপ্তারকৃত নেতা ও ওবায়দুল কাদেরসহ ছয়টি মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।
পলাতক শেখ হাসিনা, বিচার চলছে একতরফাভাবে
শেখ হাসিনার সর্বশেষ জানা ঠিকানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হলেও তিনি অনুপস্থিত থাকায় আন্তর্জাতিক আইনের প্রেক্ষাপটে বিচার চলবে একতরফাভাবে (ex-parte)।
গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মামলাটি বিচারের জন্য গ্রহণ করে এবং শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে এই আদেশ দেন।
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বেচ্ছায় রাজসাক্ষী হয়েছেন।