ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সাধারণ মানুষ। স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ জুলাই) হাজার হাজার ইন্দোনেশীয় রাজধানী জাকার্তাসহ বিভিন্ন শহরের রাজপথে নেমে আসে ‘গাজার পক্ষে’ বিক্ষোভে অংশ নিতে। তাদের একটাই দাবি—গাজায় যেন অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয় এবং খাদ্য, পানি ও ওষুধসহ জরুরি ত্রাণ সহায়তা কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই প্রবেশ করতে দেয়া হয়।
বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল গাজার শিশুদের দুর্দশা, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া পরিবার, এবং ক্ষুধায় কাতর মানুষদের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড। এক নারী বিক্ষোভকারী তার হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন, “গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করতে দিন।” অপরদিকে, এক শিশু হাতে রান্নার হাড়ি তুলে ধরে প্রতীকী প্রতিবাদ জানায় গাজায় খাবারের ভয়াবহ ঘাটতির বিরুদ্ধে।
নারীদের মধ্যে কেউ কেউ প্ল্যাকার্ডে গাজার শিশুদের করুণ মুখাবয়বের ছবি তুলে ধরে বলছিলেন, “মানবতা আজ কোথায় হারিয়েছে?” এই বিক্ষোভে অংশ নেয়া অনেকেই পরেছেন ফিলিস্তিনি পতাকা সম্বলিত পোশাক। ইসলামি সংগঠন, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষার্থী, এমনকি সাধারণ ঘরের গৃহিণী পর্যন্ত রাজপথে নেমে প্রতিবাদের স্লোগানে একাত্মতা জানান।
বিক্ষোভ আয়োজকরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলা এবং অবরোধের কারণে খাদ্য, পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটে পড়েছে প্রায় ২৩ লাখ গাজাবাসী। গত এক সপ্তাহে খাবারের অভাবে শিশু ও বৃদ্ধদের মৃত্যুর খবর এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
জাতিসংঘ, ওআইসি এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, “মানবিক সহায়তা যেন দ্রুত গাজায় প্রবেশ করতে পারে, সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে বিশ্ব সম্প্রদায়কে।”
গাজায় চলমান সংঘাত, মৃত্যুমিছিল এবং দুর্ভিক্ষের চিত্র এখন আর শুধু মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নয়—এটি বৈশ্বিক মানবতার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাই ইন্দোনেশিয়ার মানুষ রাস্তায় নেমে সেই মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়েছে, গাজার পাশে দাঁড়িয়েছে।