ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ :
নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা হতে যাচ্ছে আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই—এমন আশ্বাসে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরে এসেছে আলোচনার নতুন গতি। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ১৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে এই তথ্য জানান জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।
তিনি বলেন, “ভোটের তারিখ ঘোষণার চেয়ে আনন্দের সংবাদ আর কিছু হতে পারে না। দেশবাসী এই ঘোষণার অপেক্ষায় ছিল অনেকদিন ধরে।”
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ বৈঠক শেষে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা খুব দ্রুতই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার অঙ্গীকার করেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ। মৌলিক কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গোপালগঞ্জে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার পেছনে গোয়েন্দা তথ্যের ঘাটতি ছিল এবং সেটি স্বীকার করেছেন অধ্যাপক ইউনূস নিজেই।
ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, “মনে হচ্ছে সরকারের ভেতরে আরেকটি সরকার সক্রিয়। যার ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।”
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “আইনশৃঙ্খলা যদি নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে কীভাবে ভোটের তারিখ ঘোষণা করবেন?” তবে তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন এবং কয়েকদিনের মধ্যেই তারিখ ঘোষণা করবেন।
এদিকে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ জানিয়েছেন, তাদের দল ভোটের তারিখ ঘোষণার পাশাপাশি ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা ও ৮ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছে।
তিনি বলেন, “আমরা আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে একটি সন্ত্রাস ও ফ্যাসিবাদবিরোধী মনিটরিং সেল গঠনের প্রস্তাব করেছি, যেখানে রাজনৈতিক নেতাদেরও সম্পৃক্ত রাখার দাবি জানানো হয়েছে।”