তেহরান, ২১ জুলাই:
ইসরায়েলের অপ্রত্যাশিত হামলার মাত্র এক মাসের মধ্যেই দেশজুড়ে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে ইরান। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সব প্রতিরক্ষা ইউনিট সরিয়ে তেহরান বসিয়েছে নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। ইতোমধ্যেই নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির এক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা।
গত জুনে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামক অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালায়। হামলায় ধ্বংস হয় তেহরানের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা। ধারণা করা হচ্ছিল, এতে ইরানের সামগ্রিক আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
কিন্তু এক মাসের মধ্যেই এই ধারণা ভুল প্রমাণ করে ইরান। বিভিন্ন ইরানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় যে সকল প্রতিরক্ষা ইউনিট ধ্বংস হয়েছিল সেগুলোকে সরিয়ে একই জায়গায় বসানো হয়েছে নতুন মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। এবং তা একান্তভাবেই ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের এই প্রতিরক্ষা পুনর্গঠন কৌশল দেশটির সামরিক আত্মনির্ভরতার আরেকটি উদাহরণ। এর মাধ্যমে তেহরান আকাশপথে যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরেই ইরান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। একসময় চীনের এইচকিউ-৯ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ও রাশিয়ার এস-৩০০ ব্যবহারের পর, এখন দেশটি নিজস্ব প্রযুক্তির উন্নত সিস্টেম— বাভার ৩৭৩ এবং খোরদাদ ১৫— ব্যবহার করছে।