ডেস্ক রিপোর্ট | জুলাই ১৩, ২০২৫
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে দেশের রফতানি খাতে আগের মতোই নগদ সহায়তা ও আর্থিক প্রণোদনা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত সময়ের জন্য ৪৩টি খাতে এই সহায়তা বহাল থাকবে।
নতুন ঘোষণায় বলা হয়েছে, জাহাজীকৃত পণ্যের বিপরীতে নগদ সহায়তা ও রফতানি প্রণোদনার হার পণ্যভেদে ০.৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারিত থাকবে। এর ফলে আগের সুবিধাভোগীরা পূর্বের মতোই এই আর্থিক সহায়তার আওতায় থাকবেন।
সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের পেছনে তিনটি বড় কারণ
সরকার পূর্বে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ২০২৫ সালের জুলাই থেকেই রফতানি খাতে নগদ সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে বাস্তবতা বিবেচনায় সেই সময়সীমা আরও ছয় মাস পিছিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
এই সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার পেছনে সরকার তিনটি বড় কারণ চিহ্নিত করেছে:
1. যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক বাড়ানোর উদ্যোগ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপের হুমকি।
2. ভারতের সীমান্ত বিধিনিষেধ: স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য রফতানিতে প্রতিবেশী ভারতের আরোপিত নতুন নিয়ম ও বিধিনিষেধ।
3. রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর শিল্পখাতের অস্থিরতা: গত বছরের রাজনৈতিক পরিবেশ পরিবর্তনের প্রভাবে শিল্প খাতে বিরাজমান অনিশ্চয়তা।
প্রণোদনার ইতিহাস ও বর্তমান চিত্র
বাংলাদেশ সরকার গত সাত অর্থবছরে ৪৬ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে রফতানি খাতে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি পেয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প, যা দেশের রফতানি আয়ের প্রধান উৎস।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব পণ্য রফতানি করা হবে, শুধুমাত্র সেগুলোর বিপরীতে এই নগদ সহায়তা প্রযোজ্য হবে।