নিউজ ডেস্ক:
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আবারও প্রাণ গেল দুই বাংলাদেশির। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর গুলিতে সুনামগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁও সীমান্তে পৃথক ঘটনায় নিহত হয়েছেন দুই যুবক। এসব ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), সঙ্গে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাতে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার ভাঙ্গারপাড় সীমান্ত এলাকায় একদল বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এতে শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত শফিকুল ওই এলাকারই বাসিন্দা ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এরপর শনিবার (১২ জুলাই) ভোরে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার মিনাপুর সীমান্তে আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। দিনাজপুরে অবস্থিত ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক জানান, ভারতের মালদা জেলার পরিয়াল ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা ভোরে গুলি চালালে রাসেল (২০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। তিনি হরিপুর সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
পৃথক এই দুই ঘটনায় বিজিবি কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দু’টি ঘটনাস্থলেই পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এমন ঘটনা সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ায় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল।
সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারীরা জানান, গরু আনানেয়া, কৃষিকাজ কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার অভিযোগে বিএসএফ প্রায়ই গুলি চালায়। তারা এসব ঘটনায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সীমান্তে প্রাণহানি ইস্যুতে প্রতিনিয়ত উদ্বেগ বাড়ছে
সীমান্তে প্রাণহানির ঘটনা নতুন নয়। প্রায়শই বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। তবে বারবার কূটনৈতিক প্রতিবাদ ও বৈঠক হওয়া সত্ত্বেও এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ হচ্ছে না—এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে নাগরিক সমাজ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে।