ফেনী প্রতিনিধি:
গত বছরের বন্যার ক্ষত এখনো কাটেনি, এরমধ্যেই আবারও ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনী জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বাড়ায় নতুন করে বেড়িবাঁধ ভেঙেছে একাধিক স্থানে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৯৮টি গ্রাম, ভেসে গেছে শত শত ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও কৃষিজমি।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ফুলগাজীর ৬৭টি, পরশুরামের ২৭টি এবং ছাগলনাইয়ার ৪টি গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ফেনী-পরশুরাম সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভারতের বল্লামুখা সীমান্ত এলাকায় বাঁধ ভেঙে বাংলাদেশ অংশে পানি ঢুকে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মুহুরী নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচে থাকলেও কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানির উচ্চতা কমেছে। তবে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ২১টি স্থান দিয়ে এখনো লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। কিছু এলাকায় বেড়িবাঁধের উপর দিয়েও প্রবল স্রোতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় না থেকে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, “ত্রাণে নয়, আমরা চাই দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা। ৭,৩৪০ কোটি টাকার বন্যা প্রতিরোধ প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি সম্ভব।”
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে ১৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার পাঠানো হচ্ছে। দুর্গত মানুষদের নিরাপদ