ইসলামাবাদ, ১০ জুলাই: পাকিস্তানে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলা, গুপ্তহত্যা ও বিস্ফোরণের পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী। সম্প্রতি আল জাজিরাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভারত পরিকল্পিতভাবে পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টায় লিপ্ত, যার মাধ্যমে তারা নিজেদের আঞ্চলিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
জেনারেল শরীফ চৌধুরীর অভিযোগ, ভারত সরকারের প্রশ্রয়ে ‘র’ পাকিস্তানে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, “পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দিতে ‘র’ সক্রিয়ভাবে অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করছে।” তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে ‘পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের প্রধান স্থপতি’ বলেও আখ্যা দেন।
পাকিস্তানি সেনা মুখপাত্র আরও দাবি করেন, ‘ফিতনা-আল-খারেজি’ ও ‘ফিতনা-আল-হিন্দুস্তান’ নামের দুটি চরমপন্থি সংগঠনের সঙ্গে ভারতের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এই সংগঠনগুলো পাকিস্তানে হামলার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে বলে তার অভিযোগ।
তিনি বলেন, “ভারতের লক্ষ্য হলো পাকিস্তানকে একটি স্থায়ী সন্ত্রাস কবলিত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বদৃষ্টিতে তুলে ধরা, যাতে আমাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি ব্যাহত হয়। এই ধরণের আচরণ দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টির পথ প্রশস্ত করছে।”
যদিও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্তেজনা নতুন কিছু নয়, তবে জেনারেল শরীফ দাবি করেন, পাকিস্তান বারবার উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করেছে। তার ভাষায়, “আমরা পরিপক্ক ও দায়িত্বশীল অবস্থান গ্রহণ করছি, যেন দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।”
পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো সম্প্রতি দাবি করেন, কাশ্মীরের পহেলগামে গত এপ্রিলে সংঘটিত হামলার ঘটনায় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক তদন্তে রাজি থাকলেও ভারত তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, “ভারত হামলায় জড়িতদের পরিচয় গোপন করছে এবং এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। অথচ পাকিস্তান সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।”