আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উত্তর গাজার বেইত হানুন এলাকায় রোডসাইড বোমা বিস্ফোরণে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) পাঁচ সেনা নিহত এবং আরও অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সংঘটিত এই প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় গাজায় চলমান ইসরায়েলি অভিযানের কৌশল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
নিহতদের মধ্যে ইতোমধ্যে একজনের নাম প্রকাশ করেছে আইডিএফ। তিনি হলেন স্টাফ সার্জেন্ট মোশে শ্মুয়েল নোল, বয়স ২১ বছর। তিনি ‘নেটজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের’ সদস্য ছিলেন—a unit composed primarily of ultra-Orthodox Jewish volunteers serving in the Israeli military.
আইডিএফ এখনো বাকি চার নিহত সেনার পরিচয় প্রকাশ করেনি। এদিকে মোশের মৃত্যুর খবরে বেইত শেমেশ শহরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার স্মরণে স্থানীয় সিনাগগে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলার জবাবে গাজায় ইসরায়েল তাদের সামরিক অভিযান আরও জোরদার করতে পারে। ইতোমধ্যে গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
রোডসাইড বোমা বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, “সেনা হতাহতের ঘটনা যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে ব্যাহত করবে না।” তিনি আরও যোগ করেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য উভয় পক্ষই কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে নেতানিয়াহু জানান, গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত বাস্তুচ্যুতদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র একসাথে কাজ করছে। তার ভাষায়, “কিছু দেশ এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় এগিয়ে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।”