আন্তর্জাতিক ডেস্ক | জুলাই ৪, ২০২৫
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমা হামলা নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজ চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, গাজা ধ্বংস করতে ইসরায়েল হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে ছয়গুণ বেশি শক্তিশালী বোমা ব্যবহার করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উপস্থাপিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই মন্তব্য করেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
আলবানিজ জানান, গাজায় প্রায় ৮৫ হাজার টন বিস্ফোরক ফেলা হয়েছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমায় ফেলা বোমার চেয়ে ছয়গুণ বেশি শক্তিশালী। তার ভাষায়, “গাজায় আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম নিষ্ঠুর গণহত্যার জন্য ইসরায়েল দায়ী।”
তিনি আরও বলেন, এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্য ইসরায়েলকে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করেছে অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানিগুলো, যারা এ যুদ্ধে প্রায় রেকর্ড পরিমাণ মুনাফা অর্জন করেছে।
জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত আরও কঠোর ভাষায় বলেন, গাজায় পরিচালিত তথাকথিত “গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন” মূলত একটি “মৃত্যুফাঁদ”, যা গাজার ক্ষুধার্ত, দুর্বল ও অসহায় জনগোষ্ঠীকে হত্যা কিংবা জোরপূর্বক পালিয়ে যেতে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
ফ্রান্সেসকা আলবানিজের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, গাজায় চলমান সংকটকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সময় এসেছে।