সোমবার ইরান ইসরায়েলের উপর আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। দেশটির রাজধানী তেল আবিব ও বন্দরনগরী হাইফায় এই হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন এবং বহু লোক আহত হয়েছেন। হামলায় বেশ কিছু ঘরবাড়িতে আগুন লেগেছে এবং একটি বিদ্যুত কেন্দ্রে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই হামলায় তেল আবিবে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে দূতাবাসটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় সাত লাখ মার্কিন নাগরিককে নিরাপদে নিজ গৃহে অবস্থানের অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যদি কোনো মার্কিন ঘাঁটি বা স্বার্থের উপর হামলা চালানো হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র পূর্ণ শক্তিতে তার জবাব দেবে।
তবে ইরান তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে একটি ‘ইসলামী সেনাবাহিনী’ গঠন করে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। ইরানের আরেক নেতা মহসেন রেজাই জানিয়েছেন, এই সেনাবাহিনী গঠনে সৌদি আরব, পাকিস্তান ও তুরস্কের সমর্থন চাওয়া হবে।
অন্যদিকে, ইরান দাবি করেছে যে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় তাদের ২২৪ জন নাগরিক নিহত এবং দেড় হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে এবং সংঘাত আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।