ঢাকা, ১৪ মে ২০২৫:
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অভূতপূর্ব সিদ্ধান্তে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি প্রজ্ঞাপনে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দলটির বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। একই দিন রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নিবন্ধন স্থগিত করা হয়।
ঘটনার পরপরই বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচনার কেন্দ্রে আসে। মঙ্গলবার (১৪ মে) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন উপ মুখপাত্র টমি পিগট। তিনি বলেন, “আমরা জানি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করেছে, যতক্ষণ না দলটির বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের রায় আসে। তবে, আমরা বাংলাদেশের কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা মুক্ত, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছ বিচারব্যবস্থাকে সমর্থন করি।”
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রতিবেশী দেশ ভারতও। দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “কোনো উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ অত্যন্ত উদ্বেগজনক।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যেন অব্যাহত থাকে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।”