ঢাকা, ১২ মে:
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পেছনে একটি সাজানো নাটকীয়তা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, “এই নাটক শুধুমাত্র জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা।”
সোমবার (১২ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দীন পিন্টুর স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা আব্বাস বলেন, “যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে, তারা আসলে দেশ ও জনগণের শত্রু।”
তিনি দাবি করেন, শাহবাগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলন একটি ‘নাটক’, যা অতীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৌশলের মতোই একটি অপসরণমূলক প্রচেষ্টা। “শেখ হাসিনা অতীতে যেভাবে অপকর্ম ঢাকতে নানা ইস্যু তৈরি করতেন, এটিও তেমনই একটি পরিকল্পনা,” বলেন মির্জা আব্বাস।
এসময় তিনি প্রশ্ন তোলেন, সরকার যদি সত্যিই নিরপেক্ষ হয়, তবে কেন নিষিদ্ধ এলাকা হিসেবে ঘোষিত ডিএমপির আওতায় এনসিপি (ন্যাশনাল কনজারভেটিভ পার্টি)-কে বিক্ষোভ করতে দেওয়া হলো? “সরকারের নিরপেক্ষতা এখানেই প্রশ্নবিদ্ধ,” বলেন তিনি।
মির্জা আব্বাস আরও অভিযোগ করেন, ‘মানবিক করিডোর’ নামে একটি নতুন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার নিজস্ব উদ্দেশ্য সাধন করছে। তিনি বলেন, “দেশ বর্তমানে ভালো অবস্থানে নেই। অথচ জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন এই ইস্যুতে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা সত্যিই বিস্ময়কর।”
প্রশাসন কাঠামো নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বিএনপি সমর্থিত কর্মকর্তাদের সরিয়ে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতপন্থীদের বসানো হচ্ছে, যা সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক নিধনযজ্ঞেরই অংশ।”
বিএনপির পক্ষ থেকে এ ধরনের রাজনৈতিক নাটক এবং প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মির্জা আব্বাস।