ঢাকা, ১০ মে — আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করার দাবিতে দেশজুড়ে চলছে টানা ৩৭ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থন’ অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে এ আন্দোলন শুক্রবার (৯ মে) দুপুর থেকে শুরু হয়ে আজ শনিবারও দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ মোড়ে অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় শাহবাগসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। সমাবেশস্থলগুলোতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল, স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো পরিবেশ।
গতকাল শুক্রবার রাতে আন্দোলনকারীদের পক্ষে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা,
২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে দলগত বিচারের বিধান সংযুক্ত করা,
৩. ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ জারি করা।
হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, এ তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এ অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা। তিনি বলেন, “এটি একটি ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য।”
আন্দোলনকারীদের ভাষ্য অনুযায়ী, পাঁচ আগস্ট জনগণের নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্যই এই আন্দোলন। তারা দাবি করেন, “এই লড়াই কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নয়, বরং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দেশের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ানোর লড়াই।”
শাহবাগ ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এতে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, পেশাজীবী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।