খাগড়াছড়িতে বিজু উৎসব থেকে ফেরার পথে অপহৃত হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিয়েছে অপহরণকারীরা। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমা।
মুক্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন:
১. রিশন চাকমা – আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ
২. অলড্রিন ত্রিপুরা – চারুকলা ইনস্টিটিউট, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ
৩. মৈত্রীময় চাকমা – চারুকলা ইনস্টিটিউট, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ
৪. দিব্যি চাকমা – নাট্যকলা বিভাগ, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ
৫. লংঙি ম্রো – প্রাণীবিদ্যা বিভাগ, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ
পিসিপির বিবৃতিতে জানানো হয়, অপহৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রগতিশীল ব্যক্তি ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন আন্দোলনে সোচ্চার হন। ক্রমবর্ধমান জনদাবির মুখে অপহরণকারীরা কয়েক ধাপে পাঁচ শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
এছাড়া পিসিপি ধন্যবাদ জানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে, যারা শিক্ষার্থীদের মুক্তির লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
ঘটনার শুরু থেকেই এই অপহরণের জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করে আসছে জেএসএস–সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা। তবে ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সংগঠনটির অন্যতম জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা দাবি করেন, তারা এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি এলাকায় ফের অস্থিরতা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে শিক্ষার্থীদের মুক্তি পাওয়ায় আপাতত কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে