মূল্যস্ফীতির ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতির পেছনে সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারকে পরোক্ষভাবে দায়ী করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তাদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রচুর পরিমাণে ঋণ গ্রহণের কারণে টাকার সরবরাহ বেড়ে যায়, যা মূল্যস্ফীতির হারকে উচ্চমাত্রায় নিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১৩ বছর ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.৬৬ শতাংশে পৌঁছেছে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশেরও বেশি হয়েছে।
সরকারের পতনের পর অর্থ বিভাগ থেকে “মূল্যস্ফীতির সাম্প্রতিক গতিধারা এবং খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি” শীর্ষক একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এই প্রতিবেদনটি আলোচনার ভিত্তিতে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর নেতৃত্বে সচিবালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মূল্যস্ফীতি সহনশীল পর্যায়ে আসার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ওভারড্রাফট হিসেবে সরকারের নেওয়া ঋণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা মূল্যস্ফীতিতে অবদান রেখেছে। এ ছাড়া, সরবরাহব্যবস্থার দুর্বলতাও উচ্চ মূল্যস্ফীতির পেছনে দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থ বিভাগ আরও উল্লেখ করেছে যে, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান কমে যাওয়ার ফলে আমদানি করা পণ্যের দাম বেড়ে গেছে, যা আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির একটি বড় কারণ হতে পারে। একই সঙ্গে, বিভিন্ন পর্যায়ে পণ্যের দামের ব্যাপক পার্থক্য এবং সরবরাহব্যবস্থার দুর্বলতা মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, এখন প্রয়োজন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায় এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হয়।