বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গোপন অনলাইন সভার ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায়—বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থনে আলোচনা করছেন। জুম প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত এ গোপন মিটিংয়ের ভিডিও একটি গণমাধ্যম প্রকাশ করলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ছাত্র-জনতার চলমান আন্দোলনের উত্তাল সময়, অর্থাৎ জুলাই-আগস্ট মাসে। সভার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, ‘আজকে জরুরি ভিত্তিতে কেন জুম মিটিং আয়োজন করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের শিক্ষক সমিতির সম্মানিত সভাপতি ড. বাতেন চৌধুরী পুরো বিষয়টা নিয়ে কথা বলবেন।’
এরপর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবদুল বাতেন চৌধুরী বলেন, “দেশ বর্তমানে এক কঠিন সময় পার করছে। এই সংকটকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই সবাই এখানে নিয়োগ পেয়েছেন।
ড. বাতেন চৌধুরী কোটা আন্দোলন নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “কোটা আন্দোলনের যৌক্তিকতা আমরা স্বীকার করি, এবং ইতোমধ্যে সেই দাবি পূরণ হয়েছে। সরকার প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে। কিন্তু এখন আন্দোলনের রূপ পরিবর্তন হয়েছে—এটি এখন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে রূপ নিয়েছে।”
এই আলোচিত গোপন সভায় অংশ নিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবদুল বাতেন চৌধুরী, রেজিস্ট্রার মোঃ মনিরুল ইসলামসহ অনেকেই। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আরও ছিলেন—সুব্রত বাহাদুর, আরাফাত শাহরিয়ার, ড. মোঃ জামাল উদ্দিন, আশিক এলাহি, জোহরা নদী, মোঃ সাদেকুর রহমান, ড. সুব্রত কুমার দাস, আরিফ হোসেন, প্রফেসর বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, মোঃ শফিকুল আলম, মোঃ কবির হাসান, ড. এ এ মাসুদ, আফরোজা, সুপ্রভাত হালদার, ইসরাত জাহান, ড. হেনা রানী বিশ্বাস, ড. মোঃ খোরশেদ আলম, ড. মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, বাহাউদ্দিন গোলাপ ও ড. হাফিজ আশরাফুল হক।
সূত্র: https://www.facebook.com/watch/?v=1206629444322210&rdid=EOBD0JFAy46XfhRj