পান্না, মধ্যপ্রদেশ | ১৩ এপ্রিল ২০২৫
ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের পান্না জেলায় ৩০ বছর ধরে পরিচালিত একটি মাদরাসা সম্প্রতি ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটি ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং স্ক্রল ইনডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি সংশোধিত ওয়াকফ (Waqf) আইনের আওতায় এটি প্রথম কোনো মুসলিম মালিকানাধীন স্থাপনা যা সরাসরি নজরদারির মুখে পড়ল।
মাদরাসাটি পান্নার বিডি কলোনি এলাকায় অবস্থিত ছিল এবং স্থানীয়ভাবে এটি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ছিল। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, স্থানীয় প্রশাসন বলছে, এটি সরকারি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছিল এবং বর্তমানে এটি পৌর কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় পড়ছে, যা পূর্বের অনুমতির বাইরে চলে যায়।
মাদরাসার পরিচালকের দাবি, তিনি প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছ থেকে প্রাথমিক অনুমতি নিয়েই প্রতিষ্ঠানটি চালু করেছিলেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক সীমার পরিবর্তন হওয়ায় এটি এখন ‘অবৈধ স্থাপনা’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মধ্যপ্রদেশ শাখার প্রধান ভিডি শর্মার অভিযোগকেই প্রশাসনিক তৎপরতার সূত্রপাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাঁর অভিযোগের পরই মাদরাসা পরিচালনাকারীদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয় এবং পরে সেটি ভেঙে ফেলা হয়।
এদিকে মানবাধিকার কর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেকেই এ ঘটনাকে মুসলিম কমিউনিটির ওপর একটি বিশেষ বার্তা বলেও উল্লেখ করেছেন। তবে প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, এটি শুধুই আইনি প্রক্রিয়ার অংশ এবং এর সঙ্গে কোনো ধর্মীয় ইন্ধন নেই।
এ ঘটনার ভিডিও ও ছবি ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই এটিকে সাম্প্রতিক ওয়াকফ আইন সংশোধনের পরিণতি হিসেবে দেখছেন।