ঢাকা, ১৮ আগস্ট ২০২৪: বাংলাদেশের সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছিল মার্কিন কূটনীতিকরা। বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে পাঠানো এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের অভিযোগে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। এছাড়াও, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
তবে, এতকিছুর পরও হঠাৎ করে শেখ হাসিনার ওপর থেকে চাপ প্রয়োগ কমিয়ে আনতে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রকে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের তদবিরের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিবেদনে ভারতীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, একের পর এক বৈঠকে ভারতীয় কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের বিষয়ে তাদের গণতন্ত্রপন্থী বক্তব্য কমিয়ে আনার আহ্বান জানান। ভারতীয় কর্মকর্তাদের দাবি ছিল, যদি একটি উন্মুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে বিরোধীরা ক্ষমতায় আসে, তাহলে বাংলাদেশ ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হবে, যা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দেবে।
ভারতীয় সরকারের একজন উপদেষ্টা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আপনারা বিষয়টি গণতন্ত্রের দিক থেকে দেখবেন, তবে আমাদের জন্য এসব ইস্যু অনেক অনেক বেশি গুরুতর এবং অস্তিত্বের।” তিনি আরও বলেন, “আমেরিকানদের সঙ্গে আমাদের অনেক আলোচনা হয়েছে। সেখানে আমরা বলেছিলাম, এটি আমাদের জন্য একটি মূল উদ্বেগের বিষয়। আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের কৌশলগত ঐক্যমত্য না থাকলে, আপনি আমাদের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে নিতে পারবেন না।”
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত ভারতীয় চাপের পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশ নিয়ে তাদের সুর নরম করে। এমনকি হাসিনা সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি স্থগিত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের অনেকে হতাশ হলেও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, তারা হিসাব-নিকাশ করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এতে ভারতীয় চাপের খুব একটা সম্পর্ক নেই।
আপনার প্রয়োজনে যদি আরও তথ্য বা পরিবর্তন প্রয়োজন হয়, জানাতে পারেন।