তেহরান-ওয়াশিংটন পারমাণবিক আলোচনার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের কড়া বার্তা
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার আসন্ন পারমাণবিক আলোচনা শুরুর পূর্ব মুহূর্তে তীব্র হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তেহরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধে সম্মত না হয়, তাহলে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণে পিছপা হবে না ওয়াশিংটন। এ অভিযানে ইসরাইল সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় বুধবার (৯ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন,
“আমরা ইরানের কাছ থেকে অনেক কিছু চাই না। শুধু চাই, তারা যেন কখনো পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে না পারে। তেহরান যদি এতে রাজি না হয়, তাহলে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতেই হবে। আর সে শক্তিতে নেতৃত্ব দেবে ইসরাইল।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “আমরা কাউকে অনুসরণ করি না, বরং আমরা যা ঠিক মনে করি, সেটাই করি। ইসরাইল আমাদের প্রকৃত মিত্র, এবং এই ধরনের পদক্ষেপে তারাই থাকবে নেতৃত্বে।”
আগামী ১২ এপ্রিল ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রত্যক্ষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আলোচনার ধরন ও প্রস্তুতি ঘিরে উভয় দেশের অবস্থানেই দেখা দিয়েছে স্পষ্ট পার্থক্য। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি নয়, বরং ওমানের মধ্যস্থতায় পরোক্ষ আলোচনায় আগ্রহী।
তিনি বলেন,
“তেহরান আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আলোচনা করবে। আমাদের জাতীয় অর্জন থেকে একচুলও পিছিয়ে যাব না।”
সামরিক হুমকির পাশাপাশি অর্থনৈতিক চাপও অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই দিন মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা করার অভিযোগে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ও একজন ব্যক্তির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি সংস্থা আগে থেকেই কালো তালিকাভুক্ত এআইওআই (AIOI) ও তেসা (TESA)-এর সহযোগী বলে দাবি করা হয়েছে, যারা পরমাণু গবেষণা ও প্রযুক্তি উন্নয়ন কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন,
“আমাদের একমাত্র লক্ষ্য—ইরান যেন কখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে।”