আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে একদল শিক্ষার্থী আন্দোলন শুরু করেছে। তাদের দাবি, পরীক্ষার তারিখ এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক এবং প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষার মাঝে অন্তত ৩-৪ দিন বিরতি রাখা হোক। শিক্ষার্থীদের দাবি, পবিত্র রমজান মাস ও ঈদের কারণে তারা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে পারেনি, ফলে ফলাফল বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ‘এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০২৫’ নামের একটি শিক্ষার্থী সংগঠন এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে জানানো হয়, ১৯ লাখ ২৮ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী রোজা রেখে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে পারেনি। এছাড়া, ঈদের পরপরই পরীক্ষা শুরু হওয়ায় প্রস্তুতির জন্য সময় কমে গেছে। এজন্য তারা পরীক্ষা এক মাস পেছানোর আহ্বান জানায় এবং দাবি আদায়ে অসহযোগ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়।
তবে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের এই দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, “জুন মাসে এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তাই পরীক্ষার সময় পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।”
তিনি আরও জানান, পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং পরীক্ষার সরঞ্জামাদি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের কোনও পরিস্থিতি নেই বলেও তিনি স্পষ্ট জানান।
শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের মতে, কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষার তারিখ পেছানোর দাবি জানালেও তাদের বেশিরভাগই নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা দিতে আগ্রহী। তবে কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরীক্ষা পেছানোর জন্য ‘ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার’ চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও শিক্ষা বোর্ডের অনড় অবস্থানের কারণে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে পরীক্ষার্থীদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে কি না, সে বিষয়টি নজর রাখার মতো।