ঢাকা, ২৯ মার্চ: নাড়ির টানে আপন ঠিকানায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছেন হাজারো কর্মজীবী মানুষ। ইতোমধ্যেই অনেকে গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন, আবার কেউ কেউ আজও রওনা হচ্ছেন। তবে এবারের ঈদযাত্রায় দেখা গেছে ভিন্ন এক আবহ—বাস, ট্রেন ও লঞ্চে তুলনামূলক স্বস্তির সঙ্গে যাত্রা করছেন যাত্রীরা।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে কর্তৃপক্ষ বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে। সকাল ৮টা পর্যন্ত ৯টি আন্তঃনগর ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ঢাকা ছেড়ে গেছে, যা যাত্রীদের স্বস্তি দিয়েছে। যাত্রীরা নির্ধারিত সিট পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে অতিরিক্ত ভিড় সামলাতে অনেকেই বাধ্য হয়ে ট্রেনের ছাদে উঠে পড়েছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে স্টেশনের গেটে তিন স্তরের চেকিং চালু করা হয়েছে। আজ সারাদিনে মোট ৫১টি ট্রেন ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ঈদের এখনও দু’দিন বাকি থাকলেও ইতোমধ্যেই ডেক ও কেবিনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে, যা লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। ভোর থেকেই সদরঘাটের পন্টুনগুলোতে ব্যাপক যাত্রী সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, হাতিয়া ও পটুয়াখালীগামী লঞ্চগুলোতে প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।
বাস টার্মিনালগুলোতেও দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। মহাখালী, গাবতলীসহ একাধিক বাসস্ট্যান্ডে মানুষের ঢল নামে ভোর থেকেই। তবে সড়কে যানজট কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় যাত্রীদের স্বস্তি কিছুটা ব্যাহত হয়েছে।
যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট এবং বাস টার্মিনালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা দেখা গেছে।
যাত্রীদের সুশৃঙ্খলভাবে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। আশা করা হচ্ছে, এবারের ঈদযাত্রা বিগত বছরের তুলনায় তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক হবে।