মানবিক সংকটের মুখে ফিলিস্তিন
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর গাজা উপত্যকায় চালানো হামলায় প্রায় ৬১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক ইসরাইলি হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) ভোর থেকে ইসরাইলি বাহিনী গাজার খান ইউনিস, রাফাহ, গাজা সিটি এবং দেইর এল-বালাহ এলাকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। গাজার চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, এসব হামলায় কমপক্ষে ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারীও রয়েছেন।
ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সালাহ আল-বারদাউইল তার স্ত্রীসহ নিহত হয়েছেন। রোববার (২৩ মার্চ) ভোরে খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় তাদের তাঁবুতে এই হামলা চালানো হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরাইলি হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ২১ জনে পৌঁছেছে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ২৭৪ জন। এই বিপুল সংখ্যক হতাহতের ফলে গাজায় মানবিক সংকট তীব্রতর হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক প্রাণহানি ঘটেছে। আমরা উভয় পক্ষকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলা এবং পণবন্দীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাই।”
গাজায় ইসরাইলি হামলায় হতাহতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে, যা মানবিক সংকটকে আরও গভীর করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই সংঘাতের অবসান ঘটানো এবং নিরীহ মানুষের জীবন রক্ষা করা।