সেনাপ্রধানকে বিতর্কিত না করাটাই দেশের জন্য ভালো: এ্যানি
বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী বরাবরই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে সেনাপ্রধানকে ঘিরে কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। বিএনপির সিনিয়র নেতা এ্যানি বলেন, ‘সেনাপ্রধানকে বিতর্কিত না করাটাই দেশের জন্য ভালো।’ তার বক্তব্যের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর নিরপেক্ষতা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্ব উঠে এসেছে।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, সামরিক বাহিনী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করে না। তারা দেশের প্রতিরক্ষা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। তবে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দলগুলো সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করে, যা সামরিক বাহিনীর নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
এ্যানির মতে, দেশের সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিতর্কিত করা হলে তা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে সেনাবাহিনীকে টেনে আনা কখনোই ইতিবাচক ফল বয়ে আনে না। আমাদের উচিত তাদের পেশাদারিত্বের প্রতি সম্মান জানানো।’ তার এই মন্তব্য বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক অঙ্গনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের স্বার্থ অনুযায়ী সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বিশেষ করে নির্বাচনী সময় এ ধরনের আলোচনা আরও বেড়ে যায়। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষতা বজায় রাখা এবং তাদের পেশাদারিত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকাই গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার কারণ
- রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশলগত অবস্থান।
- নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ।
- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য।
- আন্তর্জাতিক চাপ ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রভাব।
এ্যানির মতে, সামরিক বাহিনীকে রাজনীতির বাইরে রাখা হলে দেশ আরও স্থিতিশীল হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত সেনাবাহিনীকে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দেওয়া এবং তাদের নিয়ে অযথা বিতর্ক না তৈরি করা।
করণীয়
- সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করা।
- রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল বক্তব্য প্রদান।
- মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে গুজব রোধ করা।
- দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা এবং অযথা বিতর্ক সৃষ্টি না করাই দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। এ্যানির বক্তব্য সামরিক বাহিনীর মর্যাদা রক্ষার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সেনাবাহিনীকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা সবার দায়িত্ব।